International Mobile Call নিয়ে আলোচনা
চলে আসলাম Telecom এর আরেকটি চমক International Mobile Call নিয়ে আলোচনা করতে। গত পোস্টে আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ কল অর্থাৎ Local Call নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। International Call গুলোর প্রসেসিং টা আংশিক লোকাল কল এর মতই। বাকি জাস্ট একটু কাহিনী করা লাগে। আমরা বোধ হয় ভাবতেও পারি না যে আমাদের কথাগুলা, মেসেজ, ইমেইল এগুলা সাগরের গভীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুনে হয়ত অবাক লাগছে। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই হয়। কিভাবে?
আমরা যখন বিদেশে আমাদের বন্ধু, আত্নীয়, আপনজনদের কলগুলা করি তখন খেয়াল করবেন নাম্বার গুলার আগে দুই অথবা তিন বা চার ডিজিট এর একটা Country Code থাকে।
এখন এই Country Code টা কি?
ধরেন, আপনি যখন আপনার নিজ বাসায় প্রবেশ করেন তখন নিশ্চয় আপনাকে ফ্যামিলির মেম্বারদের কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে ঢুকতে হয়না। কিন্তু যখন কোন অপরিচিত বাসায় কোন কাজে ঢুকতে চাইবেন তখন নিশ্চয় আপনার পরিচয় দিতে হবে অথবা ঐ বাসার কেউ আপনার পরিচিত থাকলে তার নাম বলে ঢুকতে হবে। Country Code এর ব্যাপারটাও সেইম। আপনি যখন নিজ দেশের Gateway থেকে অন্য দেশের Gateway তে entry দিতে চাইবেন তখন আপনার একটা কোড দরকার হবে। যেটাকে Country Code বলে। যেমন, ধরেন আমি ওমানে কল করব। তাইলে আমাকে ওমানের Country Code দিতে হবে। যেটা সম্ভবত +966.
এখন আবার হয়ত প্রশ্ন আসবে, '+' টা কেন দেয়া হয়?
এটা আসলে আপনার দেশ থেকে বের হবার exit code. যেটাকে 00 দিয়েও represent করা হয়। তাইলে নিজ দেশ থেকে বের হতে Exit Code & বাইরের দেশে ঢুকতে Country Code.
বুঝলাম, তাইলে কল টা পাঠানো হয় কিভাবে?
আপনার দেশের সুইচিং স্টেশনের অপারেটর যখন Country Code টা Sense করে তখন সেটা পাঠিয়ে দেয়া হয় কাহিনী করতে। কি কাহিনী?
এত দূর ভ্রমণ করবে আপনার কথা। বলতে গেলে হাজার মাইল। তাই আমাদের লোকাল টাওয়ার দিয়ে ওমানের সুইচিং স্টেশন পর্যন্ত ডাটা পাঠানো সম্ভব নয়। তাই এখানে অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। সেটা কি???????!!!!!!!
সেটা হয় স্যাটেলাইট না হয় সাবমেরিন ক্যাবল। তারপর কোম্পানিগুলা অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখল বাইরের দেশে কল পাঠানোর ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট এর থেকে সাবমেরিন ক্যাবল ই উত্তম। কেন?
কারণ স্যাটেলাইট এ সিগনাল লস হবার প্রবণতা বেশি। ব্যান্ডউইথ সাবমেরিন এর তুলনায় কম। আর সাবমেরিন ক্যাবল হল সাগরের নিচে অপটিক্যাল ফাইবার based guided medium. যেটাতে লাইট সিগনাল/লেজার ব্যবহার করে ডাটা পাঠানো যায় বিদ্যুৎ গতিতে। এটাতে লস নেই বললেই চলে। সময় পেলে এ সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে অন্যদিন আলাপ হবে।
তারপর সাবমেরিন লিংক এর মাধ্যমে আমার ডাটা Oman এর Gateway তে প্রবেশ করে। তারপর কি হয়?
তারপর Trunk Code যেটাও ওই নাম্বার এর মধ্যেই থাকে সেটা দিয়ে ঐ কল ওমানের সুইচিং স্টেশনে যায়। তারপর আরেকটা হল Area Code সেটা sense করে ওমানের operators রা আপনার কাঙ্খিত লোকের কাছে পৌছে দেয়। তারপর আবার ওমান টু বাংলাদেশে কথা পৌছাতেও একই প্রসেস হয়। হুম তবে লোকাল কল এর মত কথাগুলা এত দ্রুত প্রসেস হয়না। রাউটিং এ কিছু সময় নেয়। রাউটিং হল সোজা কথায় কল যে রুট দিয়ে পরিভ্রমণ করে। এইজন্য আপনি কথা বললে সেটা কয়েক সেকেণ্ড পর ওমানে শুনা যায় বা কয়েক সেকেন্ড পর আমরা শুনি। জটিলতা পরিহার করে সহজে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি ভাল লেগেছে।
আমরা যখন বিদেশে আমাদের বন্ধু, আত্নীয়, আপনজনদের কলগুলা করি তখন খেয়াল করবেন নাম্বার গুলার আগে দুই অথবা তিন বা চার ডিজিট এর একটা Country Code থাকে।
এখন এই Country Code টা কি?
ধরেন, আপনি যখন আপনার নিজ বাসায় প্রবেশ করেন তখন নিশ্চয় আপনাকে ফ্যামিলির মেম্বারদের কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে ঢুকতে হয়না। কিন্তু যখন কোন অপরিচিত বাসায় কোন কাজে ঢুকতে চাইবেন তখন নিশ্চয় আপনার পরিচয় দিতে হবে অথবা ঐ বাসার কেউ আপনার পরিচিত থাকলে তার নাম বলে ঢুকতে হবে। Country Code এর ব্যাপারটাও সেইম। আপনি যখন নিজ দেশের Gateway থেকে অন্য দেশের Gateway তে entry দিতে চাইবেন তখন আপনার একটা কোড দরকার হবে। যেটাকে Country Code বলে। যেমন, ধরেন আমি ওমানে কল করব। তাইলে আমাকে ওমানের Country Code দিতে হবে। যেটা সম্ভবত +966.
এখন আবার হয়ত প্রশ্ন আসবে, '+' টা কেন দেয়া হয়?
এটা আসলে আপনার দেশ থেকে বের হবার exit code. যেটাকে 00 দিয়েও represent করা হয়। তাইলে নিজ দেশ থেকে বের হতে Exit Code & বাইরের দেশে ঢুকতে Country Code.
বুঝলাম, তাইলে কল টা পাঠানো হয় কিভাবে?
আপনার দেশের সুইচিং স্টেশনের অপারেটর যখন Country Code টা Sense করে তখন সেটা পাঠিয়ে দেয়া হয় কাহিনী করতে। কি কাহিনী?
এত দূর ভ্রমণ করবে আপনার কথা। বলতে গেলে হাজার মাইল। তাই আমাদের লোকাল টাওয়ার দিয়ে ওমানের সুইচিং স্টেশন পর্যন্ত ডাটা পাঠানো সম্ভব নয়। তাই এখানে অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। সেটা কি???????!!!!!!!
সেটা হয় স্যাটেলাইট না হয় সাবমেরিন ক্যাবল। তারপর কোম্পানিগুলা অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখল বাইরের দেশে কল পাঠানোর ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট এর থেকে সাবমেরিন ক্যাবল ই উত্তম। কেন?
কারণ স্যাটেলাইট এ সিগনাল লস হবার প্রবণতা বেশি। ব্যান্ডউইথ সাবমেরিন এর তুলনায় কম। আর সাবমেরিন ক্যাবল হল সাগরের নিচে অপটিক্যাল ফাইবার based guided medium. যেটাতে লাইট সিগনাল/লেজার ব্যবহার করে ডাটা পাঠানো যায় বিদ্যুৎ গতিতে। এটাতে লস নেই বললেই চলে। সময় পেলে এ সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে অন্যদিন আলাপ হবে।
তারপর সাবমেরিন লিংক এর মাধ্যমে আমার ডাটা Oman এর Gateway তে প্রবেশ করে। তারপর কি হয়?
তারপর Trunk Code যেটাও ওই নাম্বার এর মধ্যেই থাকে সেটা দিয়ে ঐ কল ওমানের সুইচিং স্টেশনে যায়। তারপর আরেকটা হল Area Code সেটা sense করে ওমানের operators রা আপনার কাঙ্খিত লোকের কাছে পৌছে দেয়। তারপর আবার ওমান টু বাংলাদেশে কথা পৌছাতেও একই প্রসেস হয়। হুম তবে লোকাল কল এর মত কথাগুলা এত দ্রুত প্রসেস হয়না। রাউটিং এ কিছু সময় নেয়। রাউটিং হল সোজা কথায় কল যে রুট দিয়ে পরিভ্রমণ করে। এইজন্য আপনি কথা বললে সেটা কয়েক সেকেণ্ড পর ওমানে শুনা যায় বা কয়েক সেকেন্ড পর আমরা শুনি। জটিলতা পরিহার করে সহজে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি ভাল লেগেছে।
উত্তর দিন