সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে কিছু ধারণা




আজকে সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে আপনাদের কিছু ধারণা দিব। ভাল লাগবে আশা করি।
প্রথমে জানব সাবমেরিন ক্যাবল কি? কেন একে এ নামে ডাকা হয়? কেন এটা দরকার?
সমুদ্রের তলদেশে সমগ্র পৃথিবীর সাথে টেলিযোগাযোগ & ইন্টারনেট সুবিধার জন্য যে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করা হয় তাকে সাবমেরিন ক্যাবল বলে। এর "সাব" শব্দটির অর্থ নিচে & "মেরিন" বলতে আমরা সমুদ্র বুঝি। এই কাজটি করবার জন্য সাগরের গভীরে তার বসিয়ে বা ভাসিয়ে নেয়া হয়। বেশি গভীরতার সাথে তুলনা করতে গিয়েই ঐ গভীরতার যানবাহণ সাবমেরিনের তুলনায় এই কেবলের নাম-ও হয়ে গেছে সাবমেরিন কেবল। তাই সমুদ্রের গভীরে এই ক্যাবল সেট আপ করা হয় বলেই এর নাম সাবমেরিন ক্যাবল।
মাধ্যমে খবর বা সংগীত সম্প্রচার সম্ভব হলেও বৈরী আবহাওয়ায় বা দূর্যোগকালীন সময়ে এমনকি আপদকালীন সময়েও অধিকতর তথ্য আদান প্রদানের জন্য দ্রুত মাধ্যম হিসাবে "তার" বা "টেলিগ্রাফ" পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত বেশি উপযোগী। স্বাভাবিক ভাবে একটি দেশ বা জনপদে টেলিগ্রাফ এর ব্যবস্থা সহজেই করা সম্ভব খুঁটি গেড়ে বা মাটির নিচে টানেল করে। কিন্তু, বিশাল দূরত্ব যেমন এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে? সেখানে তো আর খুঁটি বসিয়ে নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে! সাবমেরিন ক্যাবল মূলত সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পরিচালিত অপটিক্যাল ফাইবারের বিশেষ ধরনেরক্যাবল ব্যবস্থাপনা । বাংলাদেশের জন্য বর্তমান সময়ের অনেকগুলো জরুরী বিষয়ের মধ্যে অন্যতম একটি হলো দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। আমি তো মনে করি, এটা পদ্মা সেতুর চেয়েও জরুরী। বর্তমান বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের একমাত্র যোগাযোগ হলো একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল। এটা দিয়ে আমাদের ভয়েস এবং ডাটা (ইন্টারনেট) দুটোই চলে। আর এটির কোথাও কখনও ত্রুটি দেখা দিলে সাথে সাথে বাংলাদেশ প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিনত হয়। আমাদের সামান্য স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইডথ ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছে। তা দিয়ে তো আর পুরো দেশ চলে না। এই কিছুদিন আগেই আমাদের বর্তমান ক্যাবল সিঙ্গাপুরের কাছে নষ্ট হলো। পুরো দেশ প্রায় দু'মাসের মতো ভুগলো। শুধু ভুগলো বললে ভুল হবে। আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে, যা আমরা পরিমাপ করে দেখিনি। আমাদের সমস্ত যোগাযোগের মাধ্যম যেহেতু এখন এই সাবমেরিন ক্যাবল, তাই ক্ষতির পরিমানটাও অধিক বৈ কি!
সাবমেরিন ক্যাবল কিভাবে সাগরের এত গভীরে সেট আপ করে? 
এই কাজ করতে জাহাজের সাহায্য নিতে হয়। জাহাজ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সমুদ্রের গভীরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর স্কু ডাইভার এর সহায়তায় সেটা গভীরে launch করা হয়। সামুদ্রিক প্রাণী থেকে ক্যাবল রক্ষার জন্য প্রটেকশন সিস্টেম থাকে।
সাবমেরিন ক্যাবল এর ব্যান্ডউইথ কত? 
এটার ব্যান্ডউইথ Tbps পর্যন্ত হয়। বাংলাদেশে ব্যবহৃত সাবমেরিন ক্যাবল এর ব্যান্ডউইথ ১৫০০ Gbps.
কিভাবে কাজ করে?
লাইট এর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন কে কাজে লাগিয়ে ডাটা একদেশ হতে অন্যদেশে নিমিষেই নিয়ে যাওয়া হয়। light source হিসেবে Laser, LED ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন কয়টি? 
দুইটি। কক্সবাজার & কুয়াকাটা।
একটি সাবমেরিন ক্যাবল মডেল এর নাম বলুন।
SEA - WE - ME -4. 
SEA -- South East Asia 
WE --- West Europe
ME --- Middle East
এটা যেসব দেশ দিয়ে অতিক্রম করেছে ------ 
Tunisia, Italy, Egypt, France, Pakistan, UAE, Saudi Arabia, Bangladesh, India, Sri Lanka, Malaysia, Singapore.
স্যাটেলাইট এর থেকেও এর সুবিধা বেশি কেন?
কারণ -
১) Guided medium
২) Signal loss কম
৩) Data speed বেশি 
৪) আলোর দ্রুতিতে ডাটা পৌছায়

No comments

Powered by Blogger.