পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০১]
পোস্ট লেখব বলে চিন্তা করি কিন্তু সময় এবং বিষয় না পাওয়ায় লেখা হয় না। আমি একটি জব করি এবং খুব বেস্ত থাকি । এই কারনে পোস্ট করতে পারিনা কিন্তু ইচ্ছে হয়। নিজের কথা বাদ দিয়ে এবার কাজের কথায় আসি। পি এল সি সম্পর্কে এর আগে আমি কোন পোস্ট না দেখে লিখতে শুরু করলাম। নতুনদের এটি কাজে লাগবে আশা করি।
পি এল সি এর প্রাথমিক ধারনাঃ
পোস্ট লেখব বলে চিন্তা করি কিন্তু সময় এবং বিষয় না পাওয়ায় লেখা হয় না। আমি একটি জব করি এবং খুব বেস্ত থাকি । এই কারনে পোস্ট করতে পারিনা কিন্তু ইচ্ছে হয়। নিজের কথা বাদ দিয়ে এবার কাজের কথায় আসি। পি এল সি সম্পর্কে এর আগে আমি কোন পোস্ট না দেখে লিখতে শুরু করলাম। নতুনদের এটি কাজে লাগবে আশা করি।
পি এল সি এর প্রাথমিক ধারনাঃ
পি এল সি (PLC) হল প্রোগ্রামএবল লজিক কন্ট্রোলার (Programmable Logic Controller)। পি এল সি একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে অতি সহজেই অন্যান্য যন্ত্র কন্ট্রোল করা যায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি মাইক্রোকন্ট্রোলার বিকল্প হিসাবে কাজ করে। মাইক্রোকন্ট্রোলার এবং পি এল সির মধ্যে পার্থক্য হল, মাইক্রোকন্ট্রোলার জন্য প্রোগ্রাম লেখার প্রয়োজন হয় কিন্তু পি এল সিতে লেডার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে কাজটি অতি সহজেই করা যায়।
কিভাবে কাজ করেঃ
কিভাবে কাজ করেঃ
এটি এক প্রকার মাইক্রোপ্রসেসর বেইজ কন্ট্রোল সিস্টেম। এতে একটি প্রোগ্রামেবল মেমরি থাকে এই মেমরিতে বিভিন্ন প্রকার ইন্সট্রাকশন স্টোর করা থাকে, যার মাধ্যমে গানিতিক লজিক্যাল, টাইমিং, সিকুয়েন্সিং ইত্যাদি কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়। এটি মূলত মাইক্রোকন্ট্রোলারের অনুরূপ কাজ করে কিন্তু মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে এর মূল পার্থক্য হল এটি ইন্ডাস্ট্রিতে হাই পাওয়ার কন্ট্রোলিং সিস্টেমকে কন্ট্রোল করতে ব্যবহৃত হয় অন্যদিকে মাইক্রোকন্ট্রোলার লো পাওয়ার এবং সুক্ষ কন্ট্রোল সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
পি এল সি কাজ নির্ভর করে প্রথম ধাপে যে ইনপুট সিগন্যাল দেয়া হবে তা লেডার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে প্রোসেসিং হয়ে দ্বিতীয় ধাপে কাঙ্ক্ষিত আউটপুট সিগন্যাল পাওয়া যাবে,যার মাধ্যমে অতি সহজে অন্যান্য ডিভাইস কন্ট্রোল করা যায়
পি এল সির প্রয়োজনীয়তাঃ
যে কোন মেশিন আটোমেশন, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, নেওক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট, হোম অটোমেশন, অটোম্যাটেড শিল্পকারখানাতে ব্যবহার করা হয়।
পি এল সি কিভাবে কাজ করেঃ
পি এল সি গঠিত হয়েছে তিনটি সেকশন নিয়ে।
- ১.সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট।
- ২. ইনপুট/আউটপুট।
- ৩. পাওয়ার সাপ্পালাই।
ইনপুটঃ
এখানে যাবতীয় ইনফরমেশন প্রদান করা হয়। এটি কোন সুইচ, সেন্সর, ভেরিএবল ভোল্টেজ, তাপমাত্রা ইনফরমেশন, ডাটা ইত্যাদির ইনফরমেশন সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট এ পাঠায়। এখানে প্রাপ্ত ইনফরমেশন গুলো মেনুয়াল ভাবে এবং মেশিন হতে দেয়া হয়।
সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিটঃ
এটি ইনপুট ডিভাইস হতে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে লেডার ডায়াগ্রাম অনুযায়ী আউটপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে পাঠায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ইনপুট ডিভাইস হতে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সি পি উ ডায়াগ্রাম অনুযায়ী নিজস্ব কিছু তথ্যও সংযোগ করতে পারে।
আউটপুটঃ
ইহা সি পি উ হতে আগত তথ্যগুলিকে রিলে সুইচের মাধ্যমে মেশিনে পাঠায়। এবং মেশিন সেই মোতাবেক কাজ করে থাকে। (মেশিনে ব্যবহৃত ডিভাইস অনুযায়ী রিলে ব্যবহার নাও করা লাগতে পারে)
মেশিন কর্মরত অবস্থায় সেন্সর সহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে পুনরায় ইনপুটে তথ্য প্রদান করতে থাকে। এবং এই ভাবে চক্র ক্রিয়া অটোমেটিক ভাবে চলতে থাকে।
পাওয়ার সাপ্পালাইঃ
এর কাজ হল ইনপুট, অউটপুট এবং সি পি উ কে প্রয়োজনিয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। এতে আরথিং কানেকশন বাঞ্ছনীয়। আরথিং না থাকলে প্রোগ্রাম ঠিকমত রান নাও করতে পারে, এমনকি ডিলেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরথিং সম্পর্কে পরে আরও বর্ণনা দেয়া হবে।
আজ এ পর্যন্তই থাক।
চলতেই থাকবে..............................।
উত্তর দিন